Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ মার্চ ২০২০

নদীর বালিতে মূল্যবান ‘মণিক’


প্রকাশন তারিখ : 2016-11-14

 

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদী প্রবাহ দিয়ে বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন টনেরও অধিক পলি বাংলাদেশের ভূভাগে আসছে এবং জমা হচ্ছে। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপে অধিদপ্তর ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর বালির রাসায়নিক ও মণিক উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এতে গুরুত্বপূর্ণ মৌলসমৃদ্ধ অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে। এর আগে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের বালিতে মূল্যবান জিকরন এর উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।

সাম্প্রতিককালে বিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত বিভিন্ন অনুসন্ধানে বাংলাদেশের নদীবাহিত বালিতে মূল্যবান মণিক এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিকভাবে গঠিত এবং সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠনবিশিষ্ট অজৈব পদার্থকে মণিক বলা হয়। শিলার গঠনকারী উপাদান হচ্ছে মণিক। আরো সাধারণ অর্থে, খনি থেকে উত্তোলনযোগ্য এবং অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান এমন যেকোন পদার্থকেই মণিক হিসেবে আখ্যায়িত

যায়। যেমন কয়লা ও খনিজ তেল জৈব উত্স থেকে উত্পন্ন হলেও এরা মণিক।

এ সকল তথ্য বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানীর মধ্যে বালি থেকে মণিক আহরণের আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এমনকি কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশের বালি আমদানির ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে সূত্রে জানা যায়।

সম্প্রতি সরকার নদীর এ মূল্যবান সম্পদের ধারণা পেতে বাংলাদেশের নদীবক্ষের বালিতে মূল্যবান খনিজের উপস্থিতি নির্ণয় ও অর্থনৈতিক মূল্যায়ন শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) আগামী ৩ বছর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বলে জানা যায়। গত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাসায়নিক ও মণিক উপাদানের ভূবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ও সমীক্ষার মাধ্যমে সরকার এ সকল বালি রপ্তানির জন্য অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ অনুসন্ধান কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিলেট, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং ভোলার নদী এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের নদীবক্ষের বালিতে দুর্লভ, মূল্যবান এবং কৌশলগত মৌল ও খনিজের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য ভাণ্ডার গড়ে উঠবে। এর মাধ্যমে এ মূল্যবান সম্পদসমূহ আহরণ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ বালির দামে অতি মূল্যবান বালি বিক্রয় বা ব্যবহার রোধ করাও সম্ভব হবে যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার নদীবক্ষ হতে বালির নমুনা নিয়মতান্ত্রিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরীক্ষাগারে বালির নমুনার পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তকৃত মূল্যবান খনিজ সমৃদ্ধ বালি, অতি মূল্যবান ধাতব খনিজ, বিরল ধাতু ও অতি মূল্যবান তেজষ্ক্রিয় মৌলের মজুদ শনাক্তকরণ করা হবে। চিহ্নিত খনিজ বালির মোড অব ডিট্রিবিউশন, মজুদ এবং উত্স সংশ্লিষ্ট মানচিত্র প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। নদীবক্ষের বালিতে চিহ্নিত খনিজ পদার্থ বাজার মূল্য বিবেচনায় অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতাও মূল্যায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, আমাদের খনিজ বালি খুবই মূল্যবান। সেগুলো সরাসরি রপ্তানি না করে খনিজ উপাদানগুলো আলাদা করে রপ্তানি করলে দেশ বেশি লাভবান হবে। আর এসব দিয়ে তৈরি পণ্য রপ্তানি করতে পারলে আরো বেশি লাভ হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের উপকূলভাগ বরাবর এ পর্যন্ত পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে কয়েকটি ভারি মণিক পেসারের সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার-টেকনাফ সাগর সৈকতের কক্সবাজার, ইনানী, শিলখালি, টেকনাফ, সাবরাং ও বদর মোকাম, মহেশখালি এবং মাতারবাড়ি, কুতুবদিয়া, নিঝুমদ্বীপ ও কুয়াকাটা উল্লেখযোগ্য। বিস্তারিত লিংকে দেখুন .


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon